শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
আইডি বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখালেই শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে
শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
আইডি বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখালেই শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে
১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো শিক্ষার্থী টিকাকেন্দ্রে গেলে টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু |
১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো শিক্ষার্থী টিকাকেন্দ্রে গেলে টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে কোনো নিবন্ধন লাগবে না। পরিচয়পত্র দিয়েই টিকা দিতে পারবে। পরিচয় বলতে স্কুলের পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড।’
তিনি বলেন, ‘যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছিল, সেভাবেই চলবে। শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ টিকার আওতায় চলে আসছে এ মাসের মধ্যে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা হবে।’
দীপু মনি বলেন, 'কেবিনেটের একটি সিদ্ধান্ত আছে, ১৩ তারিখের পর টিকা ছাড়া কেউ স্কুলে যেতে পারবে না। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সবার টিকা দেয়া হয়ে যাবে। এর মধ্যে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে। না নেয়ারা অনলাইনে বা বিকল্প মাধ্যমে ক্লাস করবে।
‘ক্যানসার বা জটিল রোগের ইতিহাস আছে এমন শিক্ষার্থীদের স্কুলে না এসে অনলাইনে ক্লাসের ওপর জোর দেয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সে কারণে তাদের ক্লাস যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।
গতকাল শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক আদেশে বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দিতে হবে। টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।
মাউশি জানায়-
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান টিকা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের টিকাকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষককেও টিকাকেন্দ্রে পাঠাবেন। এবং টিকা গ্রহণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
টিকা কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সব কটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অঞ্চল, জেলা শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবেন।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর আরেক নির্দেশনায় মাউশি বলেছিল, জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে চায় সরকার। এ জন্য যেসব শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন নেই এবং যাদের ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর নেই, তাদের আবার নিবন্ধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জানাতে বলা হয়েছিল।
এরপর করোনার টিকার জন্য যোগ্য সব শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা ৭ জানুয়ারির মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানোর বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।
এরপর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হলে অন্তত এক ডোজ করোনার টিকা নিতে হবে, না হলে স্কুলে যেতে পারবে না।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ভালো কাজের স্বীকৃতি
বিশ্বের একশো স্কুলের মধ্যে ব্র্যাকের ৩ স্কুল - ৬৬ শিক্ষকের ই-স্বাক্ষরিত বিবৃতি
খুবি কর্তৃপক্ষের নোটিশে ক্ষোভ ও নিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি
- পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছে কুবি
- বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে
- আইনে থাকলেও শিক্ষাছুটির সুবিধা পান না কুবি মেডিকেল কর্মকর্তারা
- জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাদ, বিভাগ উঠে যাচ্ছে এসএসসিতে - বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
- আরও ৩ দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন