সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক রবিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

১৭:১৬, ৮ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২৩:৪৪, ৮ জানুয়ারি ২০২২

৫৬৩

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক রবিবার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক রবিবার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক রবিবার

দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

অমিক্রন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমাদের মন্ত্রণালয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আছে। আগামীকাল কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক আছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। '

মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের ধারণা ছিল, মার্চে গিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু এখন জানুয়ারির গোড়ায় বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই যে পরিকল্পনা, তাতে কিছুটা সমন্বয়ের দরকার হবে। কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। বরং আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন করোনার টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। সেটিরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে, যারা ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী, তাদের জন্য। সেসব বিষয় নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, দেড় বছরের বন্ধে সবারই ঘাটতি হয়েছে। সেটি পূরণের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে, বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করানো। কিন্তু অনেকেই যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে চলছেন, তাতে করোনার সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষার ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি হবে। 

সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী। এদিকে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, দুই একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে টিকা ছাড়া ১২ বছর বয়সী কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে না বলে সিন্ধান্ত নেয় সরকার। সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছে যে ভ্যাকসিন ছাড়া ১২ বছরের ওপরে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। ভ্যাকসিন তো এখন গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত আমাদের এভেইলেবল আছে। সে জন্যই এটা ইমপোজ করে দেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনে গিয়ে যদি স্কুলে যাওয়া ইজি হয় তাহলে সেটাই সবাই কামনা করে।’

তিনি বলেন, ‘টিকা না নিয়ে কেউ স্কুলে যেতে পারবে না। অন্তত পক্ষে ফার্স্ট ডোজ নিতে হবে। ১২ বছরের নিচে এখনও কাউন্টে আসেনি আমাদের দেশে। বাচ্চাদের নিবন্ধনেরও প্রয়োজন নেই। তারা বার্থ সার্টিফিকেট বা যেকোনো একটি সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেই টিকা পেয়ে যাবে।’

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

গত অক্টোবর মাসে মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়। এরপর ১ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে কিছুদিন ঢাকার স্কুলকলেজে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়। ফাইজারের টিকা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

দেশে ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আছে কমবেশি ১ কোটি ২০ লাখ। যাদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর। সরকারের লক্ষ্য এসব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া।

করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেওয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে। গত ডিসেম্বরের প্রথম কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্ত ১ শতাংশের ঘরেই ছিল। কিছুদিন ধরে সংক্রমণে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মৃত্যু, শনাক্তের সংখ্যা ও শনাক্তের হার, এই তিন সূচকই বাড়তির দিকে। 

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত