কুয়েটের হল খুলবে ৭ জানুয়ারি, ক্লাস ২ দিন পর
কুয়েটের হল খুলবে ৭ জানুয়ারি, ক্লাস ২ দিন পর
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল খুলবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এরপর ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার মুখপাত্র রবিউল ইসলাম সোহাগ।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষা-কার্যক্রম চালু ও হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালনশাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট বন্ধের মেয়াদ ১০ দিন বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল।
অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ৩ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন বিকেল ৪টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে সাতটি হলে থাকা প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী হল ছাড়েন।
গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ ওঠে, দাফতরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ভালো কাজের স্বীকৃতি
বিশ্বের একশো স্কুলের মধ্যে ব্র্যাকের ৩ স্কুল - ৬৬ শিক্ষকের ই-স্বাক্ষরিত বিবৃতি
খুবি কর্তৃপক্ষের নোটিশে ক্ষোভ ও নিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি
- পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছে কুবি
- বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে
- আইনে থাকলেও শিক্ষাছুটির সুবিধা পান না কুবি মেডিকেল কর্মকর্তারা
- জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাদ, বিভাগ উঠে যাচ্ছে এসএসসিতে - বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
- আরও ৩ দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন