গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় লাখো শিক্ষার্থী
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় লাখো শিক্ষার্থী
দেশের মোট ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে |
একসঙ্গে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুরু হলো এই গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা।
**গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা রবিবার
রবিবার (১৭ অক্টোবর) দেশের মোট ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষার সময় এক ঘন্টা। অর্থাৎ শেষ হবে দুপুর ১টায়।
এতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ- মোট তিনটি ইউনিট রয়েছে। আসন মোট ২২ হাজার ১৩টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন
‘বি’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং
‘সি’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
পরীক্ষার মানবণ্টন-
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে।
গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটি জানিয়েছে, সব বিভাগেই ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে। মানবিক বিভাগের ক্ষেত্রে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ ও আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ১০, রসায়নে ২০ ও পদার্থবিজ্ঞানে থাকবে ২০ নম্বর। বাকি ৪০ নম্বর আইসিটিতে।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের হিসাববিজ্ঞানে ২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় ২৫, বাংলায় ১৩, ইংরেজিতে ১২ ও আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সব ইউনিটে ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে নম্বর। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ কাটা যাবে।
যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষা-
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি পরীক্ষায়ই অংশ নেবেন। বিভাগ পরিবর্তন করতে চাইলে সেই পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে মাইগ্রেশন করে ভর্তি হতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলও হিসাবে আনা হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এসএসসি, এইচএসসিতে পাওয়া জিপিএর ভিত্তিতে তাদের নিজস্ব শর্তে ভর্তির সুযোগ দেবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত ভিন্ন ভিন্নও হতে পারে।
২০১৯ ও ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ফার্স্ট টাইম ও সেকেন্ড টাইম নির্ধারণ করে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেবে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ভালো কাজের স্বীকৃতি
বিশ্বের একশো স্কুলের মধ্যে ব্র্যাকের ৩ স্কুল - ৬৬ শিক্ষকের ই-স্বাক্ষরিত বিবৃতি
খুবি কর্তৃপক্ষের নোটিশে ক্ষোভ ও নিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি
- পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছে কুবি
- বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে
- আইনে থাকলেও শিক্ষাছুটির সুবিধা পান না কুবি মেডিকেল কর্মকর্তারা
- জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাদ, বিভাগ উঠে যাচ্ছে এসএসসিতে - বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
- আরও ৩ দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন