শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে আবার আটকে দিল কুবি প্রশাসন
শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে আবার আটকে দিল কুবি প্রশাসন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে সহকারী অধ্যাপক পদে এক সিন্ডিকেট সভায় পদোন্নতি দেওয়ার পর আরেক সিন্ডিকেটে তা স্থগিত করা হয়েছে। অথচ তিনি সহকারি অধ্যাপক পদে যোগদানপত্র ও বেতন-ভাতা পেয়ে আসছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ তম সিন্ডিকেটে তার পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে আবারও আবেদন করতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
তবে এই পদোন্নতি বাতিল হয়নি বলে জানিয়ে রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় আবেদন করা লাগে সে প্রক্রিয়ায় আবেদনটা হয়নি, এটা ধরা পড়ায় সিন্ডিকেট সভায় উনার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্ল্যানিংটা যথাযথভাবে করার জন্য এটা বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপর যথাযথভাবে আসলে সিলেকশন বোর্ড হয়ে উনি পদোন্নতি পাবেন।
ওই শিক্ষকের আবেদন কেন যথাযথ হয়নি জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, আমাদের নিয়োগপত্রে একটা বিষয় লিখিত থাকে যে আপনার দাখিলকৃত কোনো তথ্য বা সার্টিফিকেটে কোনো ধরনের ভুল উপস্থাপন পাওয়া গেলে আপনার নিয়োগ বাতিল করা হবে। উনার নিয়োগ পত্রেও তাই বলা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো সময় এটা যাচাই করে কোনো অমিল পাবে তখন সেটা অনুমোদন পাওয়া বোর্ডে আবার ফেরত পাঠানো হয় পুনঃবিবেচনার জন্য। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি আগের কর্মস্থলের অভিজ্ঞতার কাগজ যুক্ত করে আবেদন করেন তবে তাকে যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ আগের কর্মস্থলের রেজিস্ট্রার এখানকার রেজিস্ট্রার বরাবর তার অভিজ্ঞতা সনদটি পাঠাবেন।
অথচ গত সিন্ডিকেটে একই আবেদনে খোদ কুবি রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে অনুমোদিত হয়েই ওই শিক্ষকের পদোন্নতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় যোগদানপত্রও।
ভুল হয়ে থাকলে আগের সিন্ডিকেটে কেনো তাকে পদোন্নতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি, বাছাই বোর্ড সুপারিশ করলে আমরা তা অনুমোদন করে সিন্ডিকেটে তুলি। উনার ক্ষেত্রেও তারা সুপারিশ করেছিল। তবে পরে বিভিন্ন জায়গায় কথা হলে এবারের সিন্ডিকেটে তার পদোন্নতি স্থগিত করে পুনঃআবেদনের জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, আমি সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেছি। সেটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে পৌঁছে। রেজিস্ট্রার এর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আছে, আমার বোর্ডের একটি চিঠি আছে। আমি বোর্ড ফেইস করেছি। বোর্ডের পর সিন্ডিকেটে আমার সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের স্বাক্ষরিত যোগদানপত্র আমার কাছে আসে। আমি তার ভিত্তিতে যোগদান করি।
তিনি আরও বলেন, যোগদানের পর আমি জানতে পারি আমার এই বিষয়টি নিয়ে একটু আপত্তি আছে। আমি যে আগে যে ইউনিভার্সিটিতে চাকরি করেছি সেখান থেকে যে লেটার টি এখানে দেওয়া হয়েছে সেটিতে ‘টু রেজিস্ট্রার’ লেখা হয় নি। সেখানে ‘টু হোম ইট মে কনসার্ন’ লেখা হয়েছে। পরে আমি গণমাধ্যমে জানতে পারি যে আমার পদোন্নতিটি বাতিল করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি কোনো কাগজপত্র পাইনি। যদি পাই তাহলে পরবর্তীতে কি হবে সেটা আমি পরে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
কুবি উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, তার পদোন্নতি বাতিল করা হয়নি। সাংবাদিকেরা কে কি নিউজ করতেছ! নিউজের তো কোনো ঠিক নাই৷ আমি তো বলি নাই নিয়োগ বাতিল হয়েছে৷ সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্তই তো এখনো লেখা হয় নাই। এটা লেখা হব। সিণ্ডিকেট মেম্বাররা দেখবে। তারপরই একটা কথা সম্পূর্ণভাবে বলা যায়।
তিনি আরও বলেন, সিণ্ডিকেটের আলোচনা হওয়ার পরে একটা সিদ্ধান্ত হয়৷ সেখানে সত্য কথাগুলা লিখলাম কি-না সেটা সব সদস্যদের দেখতে হয়। দেখার পরেই একটা সিদ্ধান্ত হয়। যেটা সিণ্ডিকেটের বক্তব্য।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- ভালো কাজের স্বীকৃতি
বিশ্বের একশো স্কুলের মধ্যে ব্র্যাকের ৩ স্কুল - ৬৬ শিক্ষকের ই-স্বাক্ষরিত বিবৃতি
খুবি কর্তৃপক্ষের নোটিশে ক্ষোভ ও নিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ৩৫ শিক্ষকের বিবৃতি
- পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না রেখেই পরীক্ষা নিচ্ছে কুবি
- বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে
- আইনে থাকলেও শিক্ষাছুটির সুবিধা পান না কুবি মেডিকেল কর্মকর্তারা
- জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা বাদ, বিভাগ উঠে যাচ্ছে এসএসসিতে - বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কুবি শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
- আরও ৩ দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
- কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন