বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ || ১১ পৌষ ১৪৩১ || ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ

বিশেষ সংবাদদাতা

২৩:৫৯, ২১ নভেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৪:৩৪, ২২ নভেম্বর ২০২০

৭৪৭৫

মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত, ডেডলাইন জয়ে ছুটছে কর্তৃপক্ষ

প্রকল্পের নাম ঢাকা মেট্রো ম্যাস রেপিড ট্রানজিট-এমআরটি-৬। বাস্তবায়ন করছে- ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।  রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ১০ কিলোমিটার। দুই অংশে ভাগ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে কাজ শেষ করার ডেডলাইন ভিন্ন নেওয়া হয়েছিলো। মিরপুর অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিলো ২০২১ সালের মধ্যেই। আর মতিঝিল অংশের ডেডলাইন ছিলো ২০২৩ সাল।  তবে সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে পুরো প্রায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার মেট্রোরেল শেষ করা হবে। আর নতুন ডেডলাইন মিট করতে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়লেও এখন কাজ চলছে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা। তাতে মেট্টোরেল প্রকল্প গতি যেমন পেয়েছে, তেমনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার আস্থা দৃঢ়তর হচ্ছে।

কিভাবে?

- রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ
- করোনায় জাপানে আটকে পড়া পরামর্শক, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলীদের বিশেষ ফ্লাইটে নিয়ে আসা
- সকল শ্রমিক, প্রকৌশলীদের কাজে ফেরানো
- প্রকল্প এলাকায় কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু

২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়াল রেলসেতু ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার মেয়াদ ছিল। কিন্তু অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পটির সার্বিক গড় অগ্রগতি ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এ পর্যন্ত অগ্রগতি: 

- মোট আট প্যাকেজে ভাগ করে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে
- অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পটির সার্বিক গড় অগ্রগতি ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ
- ৩৯৩টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৩৯২টি পিয়ার হেড এরই মধ্যে দৃশ্যমান
- ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের মধ্যে ১০ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান
- উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণের অগ্রগতি প্রায় ৭৫ শতাংশ
- নয়টি স্টেশনের সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ শেষ হয়েছে
- উত্তরা সেন্টার ও দক্ষিণ স্টেশন দুটির ছাদ পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে
- উত্তরা উত্তর ও উত্তরা সেন্টার স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ কাজ চলছে
- উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের স্টিল কাঠামোর কাজ চলছে
- আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল স্টেশনের ছাদে ঢালাই পড়েছে
- ফার্মগেট এলাকায় স্টেশন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে
- ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে
- ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ ৭৪ শতাংশ শেষ হয়েছে
- উত্তরা উত্তর, পল্লবী কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের ছাদ নির্মাণের কাজ চলছে
- উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে
- উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও প্লাম্বিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে
- বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, সিগন্যালিং ও টেলিকম্যুনিকেশন এবং স্টেশন কন্ট্রোলার কক্ষ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে
- আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত চেকবোরিং ট্রায়াল ট্রেঞ্চ টেস্ট পাইল ও স্থায়ী বোর্ড পাইলিং শেষ হয়েছে
- আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত ১০৬টি পিয়ার কলামের মধ্যে ১০২টি পিয়ার কলাম শেষ হয়েছে 
- আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত ২০৩টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ১২৮টি পাইল ক্যাপ সম্পন্ন হয়েছে
- ফার্মগেট স্টেশনের ১১৫টি স্টেশন কলামের মধ্যে ১৯টি কলামের কাজ শেষ হয়েছে 
- ৯০টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৬৫টি পিয়ার হেড বসানো হয়েছে
- ১ হাজার ৪৮টি প্রিকাস্ট সেগমেন্টের মধ্যে ২৭৭টির কাজ শেষ হয়েছে
- কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬০টি পিয়ার কলামের মধ্যে ১১৪টি পিয়ার কলাম বসেছে
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের সাবস্ট্রাকচার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে 
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের মোট ১৩০টি স্টেশন কলামের মধ্যে সাতটি স্টেশন কলাম নির্মাণ শেষ হয়েছে
- মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশন ভবন নির্মাণকাজ চলছে
- এই অংশে মোট ২৯৮টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ১৩৭টি পাইল ক্যাপ শেষ হয়েছে
- মতিঝিল অংশে ১৩৬টি পিয়ার হেডের মধ্যে ১০০টি পিয়ার হেড সম্পন্ন হয়েছে
- ১ হাজার ৬২০টি সেগমেন্টের মধ্যে ৫০৮টি সেগমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে 
- মতিঝিল ডিপো এলাকার ওয়ার্কশপ শেডের ভেতরে ১১টি রেললাইনের মধ্যে ২টি লাইনে রেলট্র্যাক শেষ হয়েছে


এর বাইরে

- উত্তরা ডিপো এলাকায় নির্মাণাধীন মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের পূর্ত কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৮ শতাংশ 
- এক্সিভিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের মধ্যে প্যাসেঞ্জার গেট স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে
- প্রকল্পের বৈদ্যুতিক এবং কারিগরি সিস্টেম নির্মাণকাজ করা হচ্ছে 
- টঙ্গি ও মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশনে বে স্থাপন এবং উত্তরা ডিপোতে রিসিভিং সাবস্টেশনের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে 
- উত্তরা ডিপোতে রিসিভিং সাবস্টেশনে ভবন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে
- উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশন পর্যন্ত ১৩২ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে 
- প্রকল্পের সিসিটিভি মনিটর, রেক্টিফায়ার্ড ট্রান্সফরমারসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ডিপোতে এসে পৌঁছেছে

এরই মধ্যে রেলট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু করে তা এগিয়ে নিচ্ছেন মেট্রোরেল নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। রেলের অগ্রগতি অক্টোবরের শেষাবধি ছিলো

- স্ট্যাব্লিং শেডের ভিতরে ১৯টি রেললাইনের মধ্যে ৫টি রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে 
- উত্তরা ডিপোর ব্যালাস্টেড রেল ট্র্যাকের জন্য ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে
- ভায়াডাক্টের ওপর মেইন লাইনের ২ হাজার ৬৭৮টি রেল জয়েন্ট ওয়েল্ডিংয়ের মধ্যে ৮৬২টির কাজ শেষ হয়েছে 
- উত্তরা ডিপো অংশে ৩ দশমিক ৯২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে
- ভায়াডাক্টের ওপর ২ হাজার ৬৭৮টি রেল জয়েন্ট ওয়েল্ডিংয়ের মধ্যে ১ হাজার ৯৩টি সমাপ্ত হয়েছে
- ভায়াডাক্টে ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে 
- এরই মধ্যে ৮০০ মিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। 

প্রকল্পের সবশেষ প্যাকেজ নম্বর ৮ এরও কিছু অগ্রগতি এরই মধ্যে নথিভূক্ত হয়েছে যা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে। এই প্যাকেজের আওতায় বগি নির্মাণের কাজ জাপানে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরুর পর বাস্তব অগ্রগতি ৩১ দশমিক ৫১ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। ২০১৯ এর ২৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের মকআপ ট্রেন ডিপোতে পৌঁছায়। তবে ছয়টি যাত্রীবাহী কোচ সম্বলিত প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন সেটের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে জাপানে শেষ হয়েছে। দেশটির কারখানায় আরও তিনটি মেট্রোরেল সেট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। 

গত জুনে ট্রেন সেটগুলো দেশে আসার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা আনা হয়নি। এগুলো দেশে আনার পর অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) তার সাথে মিলে চলতে পারছে কি তার জন্য ট্রায়াল রান করে নেবে কর্তৃপক্ষ।এভাবে একটা একটা করে ট্রেন আসবে। প্রতি সেট ট্রেন আসার পর এভাবে ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।

এরপর ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে প্রথম মানুষ মেট্রোট্রেনে উঠবে। সেই লক্ষমাত্রা মাথায় রেখে কাজ এগুচ্ছে। এবং যথেষ্টই দ্রুততার সাথে এগুচ্ছে বলে মত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। 

উদ্ধৃতি

"২০৩০ সালের মধ্যে পাতাল এবং উড়ালসহ মোট ৬টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যেই মেট্রোরেল রুট ৬-এর কাজ শতকরা ৫২ ভাগ শেষ হয়েছে। এরই মাঝে উড়ালপথে তিন কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন। করোনা মহামারীর শুরু থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত জনবলের মাঝে সংক্রমণ রোধে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। দুটি আইসোলেশন সেন্টার তথা ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের ফলে কর্মরত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকসহ অন্যান্য জনবলের মানসিক সাহস বাড়ার পাশাপাশি প্রকল্পের কাজে নবগতি সঞ্চার হবে।" 

-ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

দেখতে কেমন হবে মেট্রোরেলের ট্রেন সেট

মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙে রঙ করা থাকবে। ট্রেন সেটের বডি এবং ভিতরের কাঠামোর সবকিছুই স্টেনলেস স্টিলে তৈরি করা হচ্ছে। কোচে ব্যবহৃত গ্লাসগুলো থাকবে বুলেটপ্রুফ।

একেকটি কোচে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী যেতে পারবেন। যাত্রী যাতে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটগুলো লম্বালম্বি পাতা থাকবে প্রতিটি কোচে প্রতিবন্ধী কিংবা বয়ঃবৃদ্ধদের যারা বসতে পারবেন না তাদের জন্য থাকবে দুটি করে হুইলচেয়ার। প্রতিটি কোচেই হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি ট্রেনে ৬টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধুমাত্র নারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। বাকিগুলোতে নারী পুরুষ উভয়ই একসঙ্গে যেতে পারবেন।

কখন কিভাবে চলবে, কে চালাবেন?
ঢাকায় মেট্রোরেল চলবে চালক ছাড়াই। তবে প্রথম দিকে কিছুদিন একজন চালক রাখা হবে। ট্রেনগুলো সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিজস্ব গতিতে চলতে থাকবে। কোথাও কোনো অপেক্ষার সুযোগ থাকবে না। প্রতি চারমিনিট পর পর উত্তরা থেকে কমলাপুর রুটে এবং কমলাপুর থেকে উত্তরা রুটে ট্রেন চলতে থাকবে। দিনের ট্রেন চলতে শুরু করবে ফজরের আজানের পর থেকে। আজানের সময়ের ভিত্তিতে সময় আগুপিছু হতে পারে। প্রতিদিন মধ্যরাত ১২টা পযন্ত ট্রেন চলবে। তবে বিশেষ দিনগুলি যেমন কোন খেলা বা বড় অনুষ্ঠান আয়োজন থাকলে সেদিন ট্রেন আরও বাড়তি সময় পযন্ত চালানো হবে বলে আগে থেকেই প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের।  

টিকিট পদ্ধতি
মেট্রোরেলে থাকবে স্মার্টকার্ড টিকেটিং পদ্ধতি। এক্ষেত্রে দুই ধরণের টিকেট চালু করা হবে। যখনকার ভ্রমণ তখনের জন্য এবং একটি স্থায়ী টিকেট। ট্রেন স্টেশনে টিকিট বিক্রির মেশিন থাকবে। মেশিনে টাকা ইনসার্ট করে টিকেট কেনা যাবে। মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব এপ্লিকেশনের মাধ্যমে মেট্রোরেলের টিকেট কেনা যাবে।

কোথায় কোন স্টেশন 
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার পথের মধ্যে মোট ১৭টি স্টেশন থাকবে যেখান থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এর মধ্যে উত্তরা সেন্টার, বিজয়স্বরণী ও মতিঝিল স্টেশনকে সুদৃশ্য করে তৈরি করা হবে। বাকি স্টেশনগুলো সাধারণ স্টেশন হবে। স্টেশনগুলো হবে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank
খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত