শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ || ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ || ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

১৩:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০২০

আপডেট: ১৩:১৯, ৩০ অক্টোবর ২০২০

২৩৭৯

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৪

শঙ্কিত পদযাত্রা

ধারাবাহিক আত্মকথা

। খ ম হারূন ।
 

খ্যাতিমান টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব খ ম হারূন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন দেশের টেলিভিশন এবং মঞ্চের সাথে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বর্ণময় সময়ে যে কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজকের নাম ছোট পর্দার কল্যাণে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে খ ম হারূন তাদের একজন। দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। এখনো রয়েছেন সমান সক্রিয়। দেশের গণমাধ্যম জগতের বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের আত্মকথা ‘শংকিত পদযাত্রা’ ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হচ্ছে অপরাজেয় বাংলা’য়।
 

[পর্ব-৪]


বিটিভিতে আমার নির্মিত প্রথম নাটকের নাম ‘শহর’। আমাকে যখন নাটক প্রযোজনার দায়িত্ব দেয়া হয় তখন আমাদের সমসাময়িকদের মধ্যে একমাত্র নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু নিয়মিত নাটক প্রযোজনা করতেন। ১৯৮০ সালেই বিটিভিতে আমার আগে প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন- নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ম হামিদ, আলী ইমাম, আল-মনসুর, হাবিব আহসান, রিয়াজউদ্দিন বাদশা, ফখরুল আবেদিন, আবু তাহের, মাহবুবুল আলম, কামরুন্নেসা হাসান ও শাহিদা আরবী। এর তিনমাস পর আমি এবং ফরিদুর রহমান। 

নাটক প্রযোজনার দায়িত্বের পাশাপাশি আমাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়। সব জায়গাতেই কাজ করতে গেলে প্রথমেই বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিটিভি সে দিক থেকে ছিলো একটি আদর্শ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই সময়ে যা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। নাটক নির্মাণের জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি ভালো টিম তৈরী করা। তাই চেষ্ঠা করি সবার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে। আমার প্রডাকশন টিমের যারা সদস্য যেমন ক্যামেরাম্যান, ডিজাইনার, অনুষ্ঠান সহকারীসহ সকল প্রডাকশন ক্রুদের কাছ থেকে আমি সব সময়েই প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি।

‘শহর’ নামে একটা উপন্যাস পড়ি সাপ্তাহিক ‘রোববার’ এর ঈদ সংখ্যায়। রাহাত খানের লেখা, যা সেসময় আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল। আমি নিজেই ‘শহর’-এর নাট্যরূপ দিতে থাকি। একসময় নাটকের রেকর্ডিং শিডিউল দেয়া হয় উপস্থাপন শাখা থেকে। ৩ নং ষ্টুডিওতে ১ দিনের রেকর্ডিং। ১ দিন সকাল-সন্ধ্যা আউটডোর, ১ দিন এডিটিং। এই সিডিউলের মধ্যেই নাটকটি শেষ করতে হবে। শেষ করতে না পারলে জবাবদিহি। ‘টিভি কিউ’তে তখন সব অনুষ্ঠান ও নাটকের প্রচার সূচি দেয়া থাকে। অন্যথা করা যাবে না। মামুন ভাইকে (আবদুল্লাহ আল-মামুন) একদিন নাট্যরূপটা দেখাই। উনি বললেন ‘ঠিক আছে, কাজ শুরু করো।’ তারপর বললেন ‘রাহাত খানকে একটু দেখাও, না হলে উনি অসন্তুষ্ট হতে পারেন।’ 
আসলেইতো। নাটকের নাম, নাট্যকার ও প্রযোজকের নাম, কাহিনী সংক্ষেপ এগুলো ‘টিভি কিউ’তে ছাপার অক্ষরে বের হয়েছে, অথচ এখনো আমি রাহাত খানের সাথে যোগাযোগটাই করিনি। 

রাহাত খানের সাথে আমার পরিচয়টা হয়েছিল কয়েক মাস আগে। বিটিভিতে যোগদান করার আগে আগে। ইত্তেফাক ভবনে তখন সাপ্তাহিক ‘রোববার’-এর অফিস। কবি রফিক আজাদ পত্রিকাটির সম্পাদক। মাঝে মাঝে আমার লেখা ছাপা হয় ‘রোববার’-এ। নাটক, চলচ্চিত্র এবং পেইন্টিংস মূলত: এগুলো হচ্ছে বিষয়। একদিন সম্মানী আনতে যাই রফিক আজাদের কাছে। রফিক ভাই ছিলেন না। তাই হিসাব বিভাগে গিয়ে বলি চেকের কথা। তারা বলেন রাহাত খানের অনুমোদন লাগবে। অগত্যা এতো বড় একজন সাংবাদিক-সাহিত্যিকের রুমে ঢুকে পড়ি। তিনি একটু রাগত দৃষ্টিতে তাকালেন। আমার কথা বললাম। তিনি লেখা দেখলেন। তারপর বসালেন। সম্মানীটা একটা খামে ভরে আমাকে দিলেন। কোনো রকম আন্তরিকতার ছোঁয়া ছিলো না। সেই ১৯৮০ সালে দুইশত পঞ্চাশ টাকা। তখন অনেক টাকা। 

একটু ইতস্তত করে আমি ইত্তেফাক ভবনে রাহাত ভাইকে ফোন করলাম। তিনি আমার নাম শুনে চিনতে পারলেন। আমাকে পান্ডুলিপিসহ সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে আসতে বললেন। ইউনিসেফে থাকতে যে মোটর সাইকেলটা ছিলো সেটা যেদিন বিটিভিতে যোগদান করি সেদিনই আগের অফিসে জমা দিয়ে দেই। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি ঢাকার রাস্তায় কখনো মোটর সাইকেল চালাবো না। যানবাহন হয় অফিসের গাড়ি না হয় পাবলিক বাস বা রিকশা। রিকশা করেই হাজির হই প্রেসক্লাবে। রাহাত খান অপেক্ষা করছিলেন। আজ তিনি আমাকে দেখে বেশ খুশি হন। পান্ডুলিপি আর আমার সম্পাদিত এককপি ‘টিভি কিউ’ তার হাতে দেই। নেড়েচেড়ে দেখেন। পান্ডুলিপিতে চোখ বুলিয়ে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। আমি তার দিকে বিটিভির নির্দিষ্ট চুক্তিপত্র এগিয়ে দেই। স্বাক্ষর করে দেন যথাস্থানে। তারপর আমাকে নিয়ে ঢোকেন প্রেসক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায়। অনেক কিছুর অর্ডার দেন। সেই থেকে রাহাত ভাইয়ের সাথে আমার সুসম্পর্ক। যখনই দেখা হতো তিনি বলতেন, আমার জন্য তিনি পান্ডুলিপি রেডি করছেন, আমাকে পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু নাটকের সেই পান্ডুলিপি আর রেডি হয়না। আর কোনোদিন তিনি আমার জন্য লিখবেনও না।

‘শহর’ নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনেকেই। সালেক খান, লাকী ইনাম, আতাউর রহমান, আলী যাকের, মোহাম্মদ জাকারিয়া, আল মামুন, বাদল রহমান, সৈয়দ মহিদুল ইসলাম, শায়লা জামান, মজিবর রহমান, কেরামত মাওলা - সকলেই অসাধারন অভিনয় করেছিলেন। ক্যামেরায় শফিকুল ইসলাম স্বপনের কাজ ছিলো দারুণ। 

মফস্বল থেকে একটি ছেলে রাজধানীতে এসে কিভাবে জীবন সংগ্রামে জড়িত হয়ে যাচ্ছে- তার উপর ভিত্তি করেই উপন্যাস ‘শহর’। নাট্যরূপ দেয়ার সময় এর ছোটো ছোটো দৃশ্য আমাকে দারূণভাবে আকৃষ্ট করে। বিটিভি‘র নাটকের যে ধারা সেটি ছিলো মূলত সংলাপ প্রধান। ষ্টুডিওতে একই লেভেল থেকে সকল দৃশ্য ধারণ করা হতো। আমি এসবের বাইরে যেতে চাচ্ছিলাম। টিভি নাটককে চলচ্চিত্রের কাছাকাছি নেবার একটা প্রচেষ্ঠা ছিলো আমার। সে সময়ে এ কাজ দারূণভাবে প্রসংশিত হয়, সেই ধারাটি এখনো অক্ষুন্ন আছে। 

‘শহর’ নাটক যখন সম্প্রচারিত হয় ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১, তখন আমার বাসায় টিভি সেট নেই। কি আর করা, এ নাটকটি আমাকে দেখতে হয়েছিল আমার বন্ধু মুরশিদ কুলি খান-এর বাসায় গিয়ে, সাথে আমার আম্মাও ছিলেন। 

তখন ২১ ইঞ্চি একটি টিভি সেটের দাম ছিলো ৫ হাজার টাকার উপর। আমি আমার বাসার জন্য একটি টিভি সেট চেয়ে আবেদন করি মহাপরিচালকের কাছে। ভয়ে ভয়ে আবেদনটি নিয়ে আমি তার সাথে দেখা করি। উনি দেখলেন। আবেদন পত্রের উপর তিনি লিখে দিলেন ‘যত দ্রুত সম্ভব খ ম হারূনকে তার বাসায় দেখার জন্য একটি টিভি সেট সরবরাহ করা হোক।’ এজন্য তিনি পাঁচ হাজার টাকা অনুমোদন করে আবেদনপত্রটি প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়ে দেন। প্রধান প্রকৌশলী আমাকে ডাকেন। তারপর একটা চিঠি দেন ফিলিপস-এর মার্কেটিং প্রধানের কাছে।
 
মতিঝিলে ফিলিপস-এর অফিসে যাই। মার্কেটিং প্রধান মাহবুব জামিল আমাকে ডাকেন। তাদের ২১ ইঞ্চি একটি সাদাকালো সেটের দাম পাঁচ হাজার টাকার কিছু বেশি। তিনি আরেকটি কাগজ আমাকে ধরিয়ে দেন, ফিলিপস-এর শো রুম থেকে আমি যেন টিভি সেটটি নিয়ে যাই, সেই সাথে সেটের দাম হিসেবে পাঁচ হাজার টাকার যে অতিরিক্ত অংশটি আছে সেটা তিনি তার ক্ষমতায় ডিসকাউন্ট করে দেন। সাদাকালো সেই টিভি সেটটি দীর্ঘদিন আমার বাসায় ছিলো, প্রায় দু’দশক। পরে তা বিটিভিতে ফেরত দিয়ে দেই। 

সেই যে ১৯৮১ সালের প্রথমদিকে জামিল ভাইয়ের কাছে যাই নিজের জন্য একটি সাদাকালো টিভি সেটের জন্য, সেই মানুষটির সান্নিধ্যে আসতে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরো বেশ ক’টি বছর। তিনি ফিলিপস থেকে চলে যান সিঙ্গারে। সিঙ্গার কোম্পানীর সে সময়ের অবস্থা ততটা ভালো না, তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান হিসেবে সিঙ্গারের হাল ধরেন। এর কয়েক বছরের মধ্যে সেটি পরিণত হয় বাংলাদেশের প্রধান বহুজাতিক কোম্পানী। অন্যদিকে জামিল ভাইয়ের যে পরিচয় তা বহুমুখি। তিনি টিভির একজন উপস্থাপক ও লেখক। বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি ম্যুভমেন্টে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন বহুদিন। 

১৯৮৯ সালে আমি দক্ষিন কোরিয়ায় কেবিএস-এ (কোরিয়ান ব্রডকাষ্ট সিষ্টেম) যাই প্রায় তিন মাসের জন্য। ফিরে এলে মামুন ভাই আমাকে একটি অনুষ্ঠান নির্মাণের দায়িত্ব দেন। যার উপস্থাপক হিসেবে নির্বাচিত করা হয় মাহবুব জামিলকে। বিটিভি’র পঁচিশ বছর পালিত হবে বেশ জাকজমকের সাথে, সে উপলক্ষেই অনুষ্ঠান। জামিল ভাই অনেক গবেষণা করে সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করতে গিয়ে তার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পাই। এরপর ১৯৯০ সালে জামিল ভাই বিটিভির জন্য একটা নাটক লেখেন এবং তিনি মামুন ভাইকে অনুরোধ করেন নাটকটি নির্মাণের দায়িত্ব যেনো আমাকে দেয়া হয়। নাটকটির নাম ‘অচেনা বন্দর'। বিটিভির জন্য জামিল ভাইয়ের লেখা প্রথম নাটক। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা। উল্লেখযোগ্য অংশ সিলেটের চা বাগানে চিত্রায়িত করা প্রয়োজন। আমি এবং জামিল ভাই একদিন সিলেট গিয়ে লোকেশন ঠিক করে আসি। প্রধান চরিত্রে ছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সূবর্ণা মুস্তাফা। নাটকটির শুটিংএর জন্য আমরা যখন সিলেট যাবো সে সময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পায়। ঢাকার বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিলো না। তাই নাটকটির ধারণ কাজ স্থগিত রাখা হয় কিছু দিনের জন্য। পরবর্তীতে আমরা যখন আবার নাটকটির সিডিউল করি, তখন চরিত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। আসাদ এবং সূবর্ণা সময় দিতে না পারায় অভিনয় করেন তারিক আনাম খান ও রোকেয়া রফিক বেবী। নাটকটি বিটিভিতে প্রচারিত হয় ১৯৯১ সালের ২৬ মার্চ। 

ঠিক এক বছর পর ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ  মাহবুব জামিলের লেখা আরো একটি নাটক বিটিভিতে সম্প্রচারিত হয় আমার নির্দেশনায়- সেটির নাম ‘হৃদয়ে যাতন যখন’। এ নাটকটি সে সময়ে দারূণভাবে প্রশংসিত হয়। যেখানে অভিনয় করেন তারানা হালিম ও অপু চৌধুরী। দু’জনের অসাধারন অভিনয় বহুদিন দর্শকদের মনে থাকবে। অপু চৌধুরী নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। এ নাটকে অভিনয় করে তিনি প্রচুর প্রশংসা পান। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে অপু বিয়ে করে বৃটেনে চলে যান। ২০০৭ সালে ম্যানচেষ্টারে অপুর বাসাতে কয়েকদিন ছিলাম। এতো বছর পর আমাকে পেয়ে তার যে আবেগ আমি দেখেছিলাম তা উল্লেখ করবার মতো। 

‘হৃদয়ে যাতনা যখন’ নাটকটির পর জামিল ভাইয়ের কাছে বিটিভি’র অনেক প্রযোজক পান্ডুলিপির জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু জামিল ভাইয়ের এককথা- আমার নাটকের ভাষা খ ম হারূন সহজে বুঝতে পারে। কেন যে তিনি এমন একটা ধারণা পোষন করতেন আমার জানা নেই। 

পরপর দু‘বছর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক রচনার পর জামিল ভাই লেখেন একটি অসাধারণ রোমান্টিক নাটক ‘ছায়াবৃক্ষ’। কেবলমাত্র চারটি চরিত্রে সম্পূর্ন বহিদৃশ্যে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ধারণকৃত বিটিভি’র প্রথম নাটক। প্রচার তারিখ ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বর। অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার, জাহিদ হাসান, লাকি ইনাম ও শহিদুল আলম সাচ্চু। নাটকটি ছিলো পরীক্ষামূলক। সে সময় শতভাগ আউটডোরে শুটিং স্ক্রীপ্ট তৈরী করে, চলচ্চিত্রের ভাষা প্রয়োগ করে একটি টিভি নাটক নির্মান সত্যিই অনেক পরিশ্রমের কাজ ছিলো। আনোয়ার হোসেন বুলু’র ক্যামেরার কাজ, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে দৌড়াদৌড়ি করে কবিতার মতো করে ছোট ছোট দৃশ্য ধারণ করা- সত্যিই ছিলো অসাধারণ। মনোরম দৃশ্যের মাঝে শমী কায়সার আর জাহিদ হাসান এর আবেগপূর্ণ অভিনয় দর্শকদের দারূণভাবে স্পর্শ করে। নাটকের শেষ দৃশ্যের পূর্বে আরিফের (জাহিদ হাসানের) মৃত্যু দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অনেকেই কেঁদেছে এ দৃশ্য দেখে। 

মোট ৭ দিন আমরা সিলেটে থাকি নাটকটি ধারণের জন্য। জামিল ভাই সবসময় আমাদের সাথে ছিলেন। আমরা সিলেট অঞ্চলে ডানকানের যে চা বাগানে এক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলাম তার নাম চাঁদপুর। সেখানকার ম্যানেজার শাহ আলম আমাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছিলেন বলেই এই কাজটা করা সম্ভব হয়েছিল। 

[চলবে]

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ৩

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ২

ধারাবাহিক আত্মকথা । শংকিত পদযাত্রা । খ ম হারূন । পর্ব ১

Kabir Steel Re-Rolling Mills (KSRM)
Rocket New Cash Out
Rocket New Cash Out
bKash
Community Bank